০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে চায় আওয়ামী লীগ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকাল শুক্রবার চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গণভবনে এক জরুরী বৈঠকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।

এজন্য দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।

তবে, আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বসবেন কি না, সে বিষয়ে তাঁদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

বৈঠকে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নবান ও সহনশীল থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসাথে তিন নেতার একটি টিম করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার দায়িত্ব দিয়েছেন। এই টিমে ১৪ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদের যুক্ত করারও নির্দেশনা দিয়েছেন জোটনেত্রী।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমরা একমত। এরই মধ্যে তাদের দাবি মেনে কোটা সংস্কার করা হয়েছে। হতাহতের ঘটনায় সঠিক তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত টিম সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তাদের কথা শুনবেন। এ বিষয়ে দলীয় সভাপতিকে রিপোর্ট করবেন।

নেতারা বলেছেন, বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের আপত্তি নেই। তারা আন্দোলন করছে করুক। তবে তৃতীয় পক্ষ যেন তাদের ব্যবহার করে সুবিধা আদায় না করতে পারে সেদিকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মোকাবিলার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি। শিক্ষার্থীদের ওপর কেউ যেন কোনো অন্যায় আচরণ না করে, সে নির্দেশনাও দিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পড়ামহল্লায় সতর্ক থাকার জন্যও বলে দিয়েছেন।

এদিকে, শুক্রবারের (২ আগস্ট) গণমিছিলে হামলা ও বাধা দেওয়ার প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে আজ (শনিবার) সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং আগামীকাল রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে চায় আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত: ১১:২১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকাল শুক্রবার চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গণভবনে এক জরুরী বৈঠকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।

এজন্য দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।

তবে, আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বসবেন কি না, সে বিষয়ে তাঁদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

বৈঠকে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নবান ও সহনশীল থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসাথে তিন নেতার একটি টিম করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার দায়িত্ব দিয়েছেন। এই টিমে ১৪ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদের যুক্ত করারও নির্দেশনা দিয়েছেন জোটনেত্রী।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমরা একমত। এরই মধ্যে তাদের দাবি মেনে কোটা সংস্কার করা হয়েছে। হতাহতের ঘটনায় সঠিক তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত টিম সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তাদের কথা শুনবেন। এ বিষয়ে দলীয় সভাপতিকে রিপোর্ট করবেন।

নেতারা বলেছেন, বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের আপত্তি নেই। তারা আন্দোলন করছে করুক। তবে তৃতীয় পক্ষ যেন তাদের ব্যবহার করে সুবিধা আদায় না করতে পারে সেদিকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মোকাবিলার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি। শিক্ষার্থীদের ওপর কেউ যেন কোনো অন্যায় আচরণ না করে, সে নির্দেশনাও দিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পড়ামহল্লায় সতর্ক থাকার জন্যও বলে দিয়েছেন।

এদিকে, শুক্রবারের (২ আগস্ট) গণমিছিলে হামলা ও বাধা দেওয়ার প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে আজ (শনিবার) সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং আগামীকাল রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।