০১:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের সনদ পেতে চাই না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র-ইংল্যান্ডসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক যায় না মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক আসা একটি ভুল পলিসি।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন ঘিরে বিদেশিদের সনদ পেতে চাই না। আমরা এখন নিজেরাই আত্মবিশ্বাসী। আমরা আত্মমর্যাদাশীল দেশ, বিদেশিদের সনদ আর নেব না। আমরা এখন শক্ত অবস্থায়।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক প্যালেসে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মোমেন। এসময় সাংবাদিকরা বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর বিষয়ে মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখেন।

জবাবে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন অবজারভার একটা ভুল পলিসি। অধিকাংশ দেশে কোনো অবজারভার যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে যায় না, ইংল্যান্ডেও যায় না। এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারতেও না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হাঙ্গেরিসহ কয়েকটি দেশের প্রধানকে জিজ্ঞাসা করলাম, সেসব দেশেও নির্বাচন অবজারভার যায় না। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের দৈন্যতা রয়েছে, কারণ আমরা অনেকদিন উপনিবেশ ছিলাম।

মোমেন বলেন, অধিকাংশ নির্বাচন ভালো করছি। তারপরও নির্বাচন অবজারভার নিয়ে চিৎকার করা হচ্ছে। তারা (পর্যবেক্ষকরা) আসুক, দেখুক। তবে আমি বলব, নির্বাচন অবজারভার একটা ভুল পলিসি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি না জনগণের ভোট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় আসতে পারে। আর কারচুপির মাধ্যমে কোনো সরকার যদি ক্ষমতায় আসে সে সরকার বেশিদিন টিকবে না।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন বিষয়ে আমরা স্পষ্ট জানিয়েছি, সরকার ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন করতে চায়। তবে পিসফুল ইলেকশনের গ্যারান্টি চাইলেই দেওয়া যাবে না। পিসফুল নির্বাচনে সব দল ও মতের আন্তরিকতা প্রয়োজন, তা না হলে সম্ভব নয়।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যতদিন মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকার না আসে ততদিন এ সমস্যার সমাধান হবে না। এর জন্য সেদেশে গণতান্ত্রিক সরকার দরকার।

বিএনপি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসবে না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির সৃষ্টি ক্যান্টনমেন্টে। তারা ‘আজিজ মার্কা’ নির্বাচন চায়। তবে আমরা আশা করব, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে।

সূত্র : ঢাকা টাইমস

বিষয়

নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের সনদ পেতে চাই না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৩২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্র-ইংল্যান্ডসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক যায় না মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক আসা একটি ভুল পলিসি।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন ঘিরে বিদেশিদের সনদ পেতে চাই না। আমরা এখন নিজেরাই আত্মবিশ্বাসী। আমরা আত্মমর্যাদাশীল দেশ, বিদেশিদের সনদ আর নেব না। আমরা এখন শক্ত অবস্থায়।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক প্যালেসে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মোমেন। এসময় সাংবাদিকরা বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর বিষয়ে মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখেন।

জবাবে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন অবজারভার একটা ভুল পলিসি। অধিকাংশ দেশে কোনো অবজারভার যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে যায় না, ইংল্যান্ডেও যায় না। এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারতেও না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হাঙ্গেরিসহ কয়েকটি দেশের প্রধানকে জিজ্ঞাসা করলাম, সেসব দেশেও নির্বাচন অবজারভার যায় না। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের দৈন্যতা রয়েছে, কারণ আমরা অনেকদিন উপনিবেশ ছিলাম।

মোমেন বলেন, অধিকাংশ নির্বাচন ভালো করছি। তারপরও নির্বাচন অবজারভার নিয়ে চিৎকার করা হচ্ছে। তারা (পর্যবেক্ষকরা) আসুক, দেখুক। তবে আমি বলব, নির্বাচন অবজারভার একটা ভুল পলিসি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি না জনগণের ভোট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় আসতে পারে। আর কারচুপির মাধ্যমে কোনো সরকার যদি ক্ষমতায় আসে সে সরকার বেশিদিন টিকবে না।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন বিষয়ে আমরা স্পষ্ট জানিয়েছি, সরকার ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন করতে চায়। তবে পিসফুল ইলেকশনের গ্যারান্টি চাইলেই দেওয়া যাবে না। পিসফুল নির্বাচনে সব দল ও মতের আন্তরিকতা প্রয়োজন, তা না হলে সম্ভব নয়।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যতদিন মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকার না আসে ততদিন এ সমস্যার সমাধান হবে না। এর জন্য সেদেশে গণতান্ত্রিক সরকার দরকার।

বিএনপি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসবে না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির সৃষ্টি ক্যান্টনমেন্টে। তারা ‘আজিজ মার্কা’ নির্বাচন চায়। তবে আমরা আশা করব, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে।

সূত্র : ঢাকা টাইমস