০৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউনূসকে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ নামে পুরস্কার দেয়নি ইউনেস্কো

ড. মুহাম্মদ ড. ইউনূসকে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ নামে কোনো পুরস্কার দেয়নি ইউনেস্কো বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

পুরস্কার নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার থেকে বিরত না থাকলে ইউনূস সেন্টারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।

বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি একজন ভাস্করের দেওয়া পুরস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচার চালিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে ব্যাখ্যা পাঠানো হবে। এটি বাংলাদেশের জন্য অপমানজনক।

মুহিবুল হাসান বলেন, শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে পদাধিকার বলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফর কমিশন ফর ইউনেস্কোর (বিএনসিউ) চেয়ারম্যান আমি। আমার সাথে বিএনসিউর ডেপুটি সেক্রেটারি জুবাইদাও উপস্থিত আছেন। কিছুদিন আগে একটি প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেটি হচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো একটি পুরস্কার দিয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে তারা নিশ্চিত করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো কোনো সম্মাননা দেননি।

মন্ত্রী বলেন, আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে একটি সম্মেলনে গজনভী ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থার আমন্ত্রণে ইউনূসকে একটি সম্মাননা স্মারক দেন ইসরাইলি ভাস্কর হেদভাসার। তিনিও নিশ্চিত করেছেন ইউনূসকে ইউনেস্কো কোনো সম্মাননা দেয়নি। এটি গজনভী ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ইউনূসকে তিনি এটা দিয়েছেন।

তিনি জানান, এখন ইউনেস্কোর কাছে আমরা একটি ব্যাখ্যা পাঠাব। ইউনূস সেন্টার ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বরাত দিয়ে যে সংবাদটি প্রচার হয়েছে, সেটা প্রতারণামূলক ও সর্বৈব মিথ্যা। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচার করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটের ইউনেস্কোর পুরস্কার হিসেবেই লেখা রয়েছে। এটা প্রতারণা ও শঠতামূলক কার্যক্রম। একজন ইসরাইলি ভাস্কারের দেয়া পুরস্কারকে তিনি ইউনেস্কোর পুরস্কার হিসেবে প্রচার করেছেন। আমরা ইউনেস্কোর একটি সদস্য রাষ্ট্র। ইউনেস্কো কমিশন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন। বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের পক্ষ থেকে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে আমরা একটি ব্যাখ্যা পাঠাব এবং অবগত করব। আমরা বলব, ইউনেস্কোর নাম নিয়ে ড. ইউনূস বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন, যেটা অনৈতিক ও অপরাধমূলক।

আবার একজন ইসরাইলি ভাস্করের পুরস্কার ইউনেস্কোর নামে চালিয়ে দেওয়া দেশের জন্যও মানহানিকর বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল ও অপমানজনকও বটে। আমরা ইউনেস্কোকে এটা বলব। এছাড়া শ্রম আইন লঙ্ঘনের জন্য ইউনূস যে দণ্ডিত হয়েছেন, সেটাও ইউনেস্কোকে জানাব। একজন দণ্ডিত ব্যক্তি ইউনেস্কোর নাম নিয়ে যে অপপ্রচার করছেন, এটি থেকে ইউনেস্কোকে সতর্ক করব।

এরআগে, গত বৃহস্পতিবার ইউনূস সেন্টার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ড. মুহাম্মদ ড. ইউনূসকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোা ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে।

উল্লেখ্য, ১০ বছর আগে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ইউনেস্কোর ‘পিস ট্রি’ পুরস্কার পেয়েছিলেন। নারী ও কন্যাশিশুদের শিক্ষা প্রসারের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

ইউনূসকে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ নামে পুরস্কার দেয়নি ইউনেস্কো

প্রকাশিত: ০৩:২৪:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

ড. মুহাম্মদ ড. ইউনূসকে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ নামে কোনো পুরস্কার দেয়নি ইউনেস্কো বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

পুরস্কার নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার থেকে বিরত না থাকলে ইউনূস সেন্টারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।

বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি একজন ভাস্করের দেওয়া পুরস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচার চালিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে ব্যাখ্যা পাঠানো হবে। এটি বাংলাদেশের জন্য অপমানজনক।

মুহিবুল হাসান বলেন, শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে পদাধিকার বলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফর কমিশন ফর ইউনেস্কোর (বিএনসিউ) চেয়ারম্যান আমি। আমার সাথে বিএনসিউর ডেপুটি সেক্রেটারি জুবাইদাও উপস্থিত আছেন। কিছুদিন আগে একটি প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেটি হচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো একটি পুরস্কার দিয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে তারা নিশ্চিত করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো কোনো সম্মাননা দেননি।

মন্ত্রী বলেন, আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে একটি সম্মেলনে গজনভী ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থার আমন্ত্রণে ইউনূসকে একটি সম্মাননা স্মারক দেন ইসরাইলি ভাস্কর হেদভাসার। তিনিও নিশ্চিত করেছেন ইউনূসকে ইউনেস্কো কোনো সম্মাননা দেয়নি। এটি গজনভী ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ইউনূসকে তিনি এটা দিয়েছেন।

তিনি জানান, এখন ইউনেস্কোর কাছে আমরা একটি ব্যাখ্যা পাঠাব। ইউনূস সেন্টার ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বরাত দিয়ে যে সংবাদটি প্রচার হয়েছে, সেটা প্রতারণামূলক ও সর্বৈব মিথ্যা। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচার করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটের ইউনেস্কোর পুরস্কার হিসেবেই লেখা রয়েছে। এটা প্রতারণা ও শঠতামূলক কার্যক্রম। একজন ইসরাইলি ভাস্কারের দেয়া পুরস্কারকে তিনি ইউনেস্কোর পুরস্কার হিসেবে প্রচার করেছেন। আমরা ইউনেস্কোর একটি সদস্য রাষ্ট্র। ইউনেস্কো কমিশন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন। বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের পক্ষ থেকে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে আমরা একটি ব্যাখ্যা পাঠাব এবং অবগত করব। আমরা বলব, ইউনেস্কোর নাম নিয়ে ড. ইউনূস বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন, যেটা অনৈতিক ও অপরাধমূলক।

আবার একজন ইসরাইলি ভাস্করের পুরস্কার ইউনেস্কোর নামে চালিয়ে দেওয়া দেশের জন্যও মানহানিকর বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল ও অপমানজনকও বটে। আমরা ইউনেস্কোকে এটা বলব। এছাড়া শ্রম আইন লঙ্ঘনের জন্য ইউনূস যে দণ্ডিত হয়েছেন, সেটাও ইউনেস্কোকে জানাব। একজন দণ্ডিত ব্যক্তি ইউনেস্কোর নাম নিয়ে যে অপপ্রচার করছেন, এটি থেকে ইউনেস্কোকে সতর্ক করব।

এরআগে, গত বৃহস্পতিবার ইউনূস সেন্টার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ড. মুহাম্মদ ড. ইউনূসকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোা ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে।

উল্লেখ্য, ১০ বছর আগে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ইউনেস্কোর ‘পিস ট্রি’ পুরস্কার পেয়েছিলেন। নারী ও কন্যাশিশুদের শিক্ষা প্রসারের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।