১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন নিয়ে ৬ আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করলো সরকার

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ৬টি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ সংস্থার বিবৃতি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এটি ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও অযৌক্তিক’।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিবৃতির কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন দেশ ভূয়সী প্রশংসা করেছে এবং নতুন সরকারকে স্বাগতও জানিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর পরিবেশে এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মোট ১,৫৩৪ জন প্রার্থী এবং ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এ নির্বাচনে কোনো কোনো জায়গায় বিশেষ করে গ্রামীন এলাকায় ভোট দেওয়ার হার ৭০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি ছিল। তবে শহর এলাকায় তুলনামূলকভাবে কম ভোটার উপস্থিতির কারণে সারাদেশে গড় ভোটের হার ছিল ৪১.৮ অর্থাৎ প্রায় ৪২ শতাংশ।

নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, নির্বাচনের আগে বিএনপির সহিংসতা এবং নির্বাচন বানচাল করার হুমকি সত্ত্বেও, হাতে গোনা কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটের দিন ছিল শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর। আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিক, যারা সক্রিয়ভাবে মাঠ থেকে নির্বাচনের প্রতিবেদন করেছেন তারা তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এর সত্যতা প্রকাশ করেছেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচন সামনে রেখে সংযম ও আইনি সীমানা মেনে সহিংসতার ঘটনাগুলোর মোকাবিলা করেছেন। রাজনৈতিক কারণে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়নি। নির্বাচন বানচালের জন্য যারা মানুষ ও যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, আগুন দিয়েছে, মানুষকে হত্যা ও আহত করেছে এবং জনজীবন ব্যাহত করেছে তাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং সব নাগরিকের অধিকার রক্ষার জন্য এ পদক্ষেপগুলো প্রয়োজনীয় ছিল।

এ যৌথ বিবৃতি বিভ্রান্তিকর, এক তরফা এবং অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে বলা হয়, গণতন্ত্র বিরোধী ও নির্বাচনবিরোধী শক্তি যারা নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টা করেছিল তাদের উৎসাহিত করার জন্য এটি বিবৃতি উদ্দেশ্যমূলকভাবে জারি করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান।

সূত্র: জাগো নিউজ

নির্বাচন নিয়ে ৬ আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করলো সরকার

প্রকাশিত: ০৪:০৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ৬টি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ সংস্থার বিবৃতি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এটি ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও অযৌক্তিক’।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিবৃতির কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন দেশ ভূয়সী প্রশংসা করেছে এবং নতুন সরকারকে স্বাগতও জানিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর পরিবেশে এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মোট ১,৫৩৪ জন প্রার্থী এবং ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এ নির্বাচনে কোনো কোনো জায়গায় বিশেষ করে গ্রামীন এলাকায় ভোট দেওয়ার হার ৭০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি ছিল। তবে শহর এলাকায় তুলনামূলকভাবে কম ভোটার উপস্থিতির কারণে সারাদেশে গড় ভোটের হার ছিল ৪১.৮ অর্থাৎ প্রায় ৪২ শতাংশ।

নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, নির্বাচনের আগে বিএনপির সহিংসতা এবং নির্বাচন বানচাল করার হুমকি সত্ত্বেও, হাতে গোনা কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটের দিন ছিল শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর। আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিক, যারা সক্রিয়ভাবে মাঠ থেকে নির্বাচনের প্রতিবেদন করেছেন তারা তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এর সত্যতা প্রকাশ করেছেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচন সামনে রেখে সংযম ও আইনি সীমানা মেনে সহিংসতার ঘটনাগুলোর মোকাবিলা করেছেন। রাজনৈতিক কারণে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়নি। নির্বাচন বানচালের জন্য যারা মানুষ ও যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, আগুন দিয়েছে, মানুষকে হত্যা ও আহত করেছে এবং জনজীবন ব্যাহত করেছে তাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং সব নাগরিকের অধিকার রক্ষার জন্য এ পদক্ষেপগুলো প্রয়োজনীয় ছিল।

এ যৌথ বিবৃতি বিভ্রান্তিকর, এক তরফা এবং অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে বলা হয়, গণতন্ত্র বিরোধী ও নির্বাচনবিরোধী শক্তি যারা নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টা করেছিল তাদের উৎসাহিত করার জন্য এটি বিবৃতি উদ্দেশ্যমূলকভাবে জারি করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান।

সূত্র: জাগো নিউজ