রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, যারা রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে তারাই ট্রেনে আগুন দেয়ার জন্য দায়ী। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রেলভবনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, যখনই রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে তখনই সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। তারা কর্মসূচি না দিলে তো সহিংসতার ঘটনা ঘটছে না। তারা কর্মসূচি দিচ্ছে তারা মনে করছে রেল চলাচল বন্ধ করতে পারলে তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কী ধরনের বিষ্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে জানি না। যাত্রী সেজে যদি কেউ আগুন দেয়, সেটি আমরা কী করে বুঝবো? তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। পরিকল্পিত সন্ত্রাস চললে কোনোভাবেই রেলকে নিরাপদ করা সম্ভব না।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। ভোর ৫ টায় ট্রেনে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, আজ ভোর ৫টা ৪ মিনিটে আমাদের কাছে সংবাদ আসে তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ৩টি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আমাদের ৩টি ইউনিট সকাল পৌনে ৭টার দিকে আগুন নির্বাপন করে। একটি বগি থেকে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মরদেহগুলোর মধ্যে একটি শিশু, একজন নারী ও দুইজন পুরুষ। এর মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) এবং তার তিন বছরের শিশু সন্তান ইয়াসিন।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর ভোরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রহল্লাদপুর ইউনিয়নের বনখড়িয়ার চিলাই ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্বৃত্তরা রেললাইন কেটে ফেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনায় এক যাত্রী নিহত এবং ট্রেনের লোকোমাস্টার ও সহকারী লোকোমাস্টারসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়।