০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিজার্ভের শর্তে বাংলাদেশকে ছাড় দিলো আইএমএফ

বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল—আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তির ঋণের জন্য বেশিরভাগ শর্ত পূরণ করেছে। এছাড়াও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের সংস্কার পদক্ষেপ সঠিক পথে রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ফলে রিজার্ভের শর্তে সংস্থাটির কাছ থেকে ছাড় পেয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির প্রায় ৬৯ কোটি ডলার ছাড়ের পর শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে জানিয়েছেন আইএমএফ মিশন প্রধান রাহুল আনন্দ।

আইএমএফ জানায়, বাংলাদেশ গত জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারায় আইএমএফের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে যে অব্যাহতি চেয়েছিল, তা অনুমোদন করেছে সংস্থাটির পর্ষদ। একই সঙ্গে ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ সংরক্ষণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ থাকার কথা ছিল ২৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। জুন শেষে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করা হয়নি।

শুক্রবার বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আইএমএফের এশীয়ও প্যাসিফিক বিভাগ। অন্য কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে এতে সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশে আইএমএফের প্রতিনিধি জয়েন্দু দে।

সংবাদ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশের ওপর কান্ট্রি রিপোর্ট প্রকাশ করে আইএমএফ। ওই রিপোর্টে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা এবং করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা রয়েছে।

আইএমএফের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ পরিমাণগত পারফরম্যান্স ক্রাইটেরিয়ার তিনটি বিষয়ের মধ্যে রিজার্ভ ছাড়া বাকি দুটি অর্জন করেছে। এ দুটি শর্ত সরকারের বাজেট ঘাটতি এবং সরকারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ সংক্রান্ত। চারটি ইন্ডিকেটিভ টার্গেটের মধ্যে কর সংগ্রহ ছাড়া বাকি তিনটি পূরণ করেছে। এই তিনটি সরকারের সামাজিক ব্যয়, মূলধনী বিনিয়োগ এবং মুদ্রা সরবরাহ সংক্রান্ত শর্ত। এছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনসহ কাঠামোগত সংস্কারের বেশিরভাগ শর্ত পূরণ করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে রাহুল আনন্দ বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর আইএমএফ কোনো মন্তব্য করে না। অবশ্য সংস্থাটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে বাংলাদেশের নির্বাচন অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়াতে পারে।’

চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য বহুল প্রতিক্ষিত ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। অনুমোদনের দুই দিনের মাথায় ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি, যা যোগ হয় রিজার্ভে। এবার দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পেল বাংলাদেশ।

খবর : ঢাকাটাইমস

বিষয়

রিজার্ভের শর্তে বাংলাদেশকে ছাড় দিলো আইএমএফ

প্রকাশিত: ১২:৩৫:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল—আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তির ঋণের জন্য বেশিরভাগ শর্ত পূরণ করেছে। এছাড়াও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের সংস্কার পদক্ষেপ সঠিক পথে রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ফলে রিজার্ভের শর্তে সংস্থাটির কাছ থেকে ছাড় পেয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির প্রায় ৬৯ কোটি ডলার ছাড়ের পর শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে জানিয়েছেন আইএমএফ মিশন প্রধান রাহুল আনন্দ।

আইএমএফ জানায়, বাংলাদেশ গত জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারায় আইএমএফের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে যে অব্যাহতি চেয়েছিল, তা অনুমোদন করেছে সংস্থাটির পর্ষদ। একই সঙ্গে ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ সংরক্ষণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ থাকার কথা ছিল ২৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। জুন শেষে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করা হয়নি।

শুক্রবার বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আইএমএফের এশীয়ও প্যাসিফিক বিভাগ। অন্য কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে এতে সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশে আইএমএফের প্রতিনিধি জয়েন্দু দে।

সংবাদ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশের ওপর কান্ট্রি রিপোর্ট প্রকাশ করে আইএমএফ। ওই রিপোর্টে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা এবং করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা রয়েছে।

আইএমএফের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ পরিমাণগত পারফরম্যান্স ক্রাইটেরিয়ার তিনটি বিষয়ের মধ্যে রিজার্ভ ছাড়া বাকি দুটি অর্জন করেছে। এ দুটি শর্ত সরকারের বাজেট ঘাটতি এবং সরকারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ সংক্রান্ত। চারটি ইন্ডিকেটিভ টার্গেটের মধ্যে কর সংগ্রহ ছাড়া বাকি তিনটি পূরণ করেছে। এই তিনটি সরকারের সামাজিক ব্যয়, মূলধনী বিনিয়োগ এবং মুদ্রা সরবরাহ সংক্রান্ত শর্ত। এছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনসহ কাঠামোগত সংস্কারের বেশিরভাগ শর্ত পূরণ করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে রাহুল আনন্দ বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর আইএমএফ কোনো মন্তব্য করে না। অবশ্য সংস্থাটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে বাংলাদেশের নির্বাচন অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়াতে পারে।’

চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য বহুল প্রতিক্ষিত ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। অনুমোদনের দুই দিনের মাথায় ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি, যা যোগ হয় রিজার্ভে। এবার দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পেল বাংলাদেশ।

খবর : ঢাকাটাইমস