০২:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক বিচারপতি মানিকের ৭০ লাখ টাকা নিলো কারা?

সিলেট জেলার কানাইঘাট দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পলানোর সময় বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তাকে আটকের সময়ের একটি ভিডিও ক্লিপ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

শুক্রবার সীমান্ত এলাকা থেকে রাত ১১টা ২০ মিনিটে আটক করা হয় সাবেক এই বিচারপতিকে।

পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা, ব্রিটিশ পাসপোর্টসহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন সামগ্রী সঙ্গে নিয়েছিলেন মানিক। কিন্তু যাদের সঙ্গে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চুক্তি করেছিলেন, তারাই নগদ সব টাকা নিয়ে চলে যান তাকে একা ফেলে। তবে আটকের সময় বিজিবি তার কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা জব্দ করেছে।

আটকের পর বিজিবির সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মানিককে। কী কী নিয়ে পালাচ্ছিলেন— বিজিবি সদস্যদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার সাথে ছিল ব্রিটিশ পাসপোর্ট, বাংলা পাসপোর্ট, নগদ কিছু টাকা, ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড।’

এ সময় পাশ থেকে একজন জানতে চান, ‘আজকে আটকের সময় আপনার সঙ্গে কী ছিল?’ জবাবে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, ‘তেমন কিছু ছিল না। চল্লিশ হাজারের মতো টাকা ছিল। গতকাল ৬০-৭০ লাখ টাকার মতো ছিল। ওটা নিয়ে গেছে।’ নৌকাওয়ালা নিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেগুলো ওই দুই ছোকরাই নিয়েছে। আমার সঙ্গে কিচ্ছু নাই, ফোন- ফোন নম্বর সব নিয়ে গেছে।’

আটকের আগে মারধরের শিকার হয়েছেন দাবি করে আলোচিত সাবেক এই বিচারপতি আরও বলেন, ‘আমি ১৫ হাজার টাকা চুক্তিতে আসছিলাম, ওই টাকা আমি তাদের দিয়েছি। কিন্তু পরে ওই দুই ছেলে আমাকে মারধর করে সব নিয়ে গেছে। কোন এলাকায় মারধর করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইন্ডিয়ার ভেতরে।’

এদিকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কেউ একজন সাবেক বিচারপতি মানিকের গলায় গামছা পেঁচিয়ে হাত দিয়ে ধরে রেখেছেন। আরেকজন তার নাম জিজ্ঞেস করছেন। এ সময় বিচারপতি মানিক তার পুরো নাম বলেন এবং তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ বলে জানান।

এ সময় কয়েকজন তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি পালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন?’ তখন বিচারপতি মানিক বলেন, ‘প্রশাসনের ভয়ে পালিয়ে যেতে চাচ্ছিলাম।’ তখন অপর পাশ থেকে একজন বলেন, ‘আপনি তো অনেক জুলুম করেছেন।’ তখন তিনি বলেন, ‘আমি কোনো জুলুম করিনি।’

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার জিয়া পরিবার নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে জিয়াউল হক নামে এক আইনজীবী মামলার আবেদন করেন।

বিষয়

সাবেক বিচারপতি মানিকের ৭০ লাখ টাকা নিলো কারা?

প্রকাশিত: ১২:৪২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

সিলেট জেলার কানাইঘাট দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পলানোর সময় বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তাকে আটকের সময়ের একটি ভিডিও ক্লিপ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

শুক্রবার সীমান্ত এলাকা থেকে রাত ১১টা ২০ মিনিটে আটক করা হয় সাবেক এই বিচারপতিকে।

পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা, ব্রিটিশ পাসপোর্টসহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন সামগ্রী সঙ্গে নিয়েছিলেন মানিক। কিন্তু যাদের সঙ্গে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চুক্তি করেছিলেন, তারাই নগদ সব টাকা নিয়ে চলে যান তাকে একা ফেলে। তবে আটকের সময় বিজিবি তার কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা জব্দ করেছে।

আটকের পর বিজিবির সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মানিককে। কী কী নিয়ে পালাচ্ছিলেন— বিজিবি সদস্যদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার সাথে ছিল ব্রিটিশ পাসপোর্ট, বাংলা পাসপোর্ট, নগদ কিছু টাকা, ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড।’

এ সময় পাশ থেকে একজন জানতে চান, ‘আজকে আটকের সময় আপনার সঙ্গে কী ছিল?’ জবাবে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, ‘তেমন কিছু ছিল না। চল্লিশ হাজারের মতো টাকা ছিল। গতকাল ৬০-৭০ লাখ টাকার মতো ছিল। ওটা নিয়ে গেছে।’ নৌকাওয়ালা নিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেগুলো ওই দুই ছোকরাই নিয়েছে। আমার সঙ্গে কিচ্ছু নাই, ফোন- ফোন নম্বর সব নিয়ে গেছে।’

আটকের আগে মারধরের শিকার হয়েছেন দাবি করে আলোচিত সাবেক এই বিচারপতি আরও বলেন, ‘আমি ১৫ হাজার টাকা চুক্তিতে আসছিলাম, ওই টাকা আমি তাদের দিয়েছি। কিন্তু পরে ওই দুই ছেলে আমাকে মারধর করে সব নিয়ে গেছে। কোন এলাকায় মারধর করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইন্ডিয়ার ভেতরে।’

এদিকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কেউ একজন সাবেক বিচারপতি মানিকের গলায় গামছা পেঁচিয়ে হাত দিয়ে ধরে রেখেছেন। আরেকজন তার নাম জিজ্ঞেস করছেন। এ সময় বিচারপতি মানিক তার পুরো নাম বলেন এবং তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ বলে জানান।

এ সময় কয়েকজন তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি পালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন?’ তখন বিচারপতি মানিক বলেন, ‘প্রশাসনের ভয়ে পালিয়ে যেতে চাচ্ছিলাম।’ তখন অপর পাশ থেকে একজন বলেন, ‘আপনি তো অনেক জুলুম করেছেন।’ তখন তিনি বলেন, ‘আমি কোনো জুলুম করিনি।’

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার জিয়া পরিবার নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে জিয়াউল হক নামে এক আইনজীবী মামলার আবেদন করেন।