আওয়ামী লীগের বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে অসংখ্য ব্যক্তি গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সরকারবিরোধী অনেক সমালোচকও গুম-খুনের শিকার হন। এসব কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে জিয়াউল আহসানের নাম বারবার উঠে এলেও তিনি বহাল তবিয়তেই ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সেভেন মার্ডার (৭ খুন) মামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। ৫মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ ও নিধনের পরিকল্পনাও তার ছিল বলে অভিযোগ আছে। এছাড়া কল রেকর্ড ফাঁস করে তা ভাইরাল করে দেওয়া ও ছাত্র আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের নেপথ্যের কারিগরও ছিলেন আলোচিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা এই মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান।
আলোচিত সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
উল্লেখ্য জিয়াউল আহসান ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার ছিলেন। এছাড়া দীর্ঘদিন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র্যাব) চাকরি করেছেন। ২০০৯ সালের ৫ মার্চ তিনি উপ-অধিনায়ক হিসেবে র্যাবে যোগ দেন।