০৮:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সব অপরাধের বিচার হবে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি-সংগৃহীত

সব অপরাধের বিচার হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। লক্ষ্য পূরণে দেশের সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২১ মিনিটে বঙ্গভবনে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ পাঠ করান।

তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে সরকার গঠন হয়েছে তা মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। অরাজকতার বিষবাষ্প যে ছড়াবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পূর্ণ শক্তি দিয়ে তা ব্যর্থ করবে। স্বাধীনতার সব অর্জন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।

ইউনূস বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে স্বৈরাচার সরকার নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল। এসব প্রতিষ্ঠানের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা হবে। যারা অপরাধ করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শিগগিরই উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। এই কথা সব মন্ত্রণালয়, সংস্থা, দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য। সর্বত্র অপরাধীর বিচার হবে।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটি অফিসের দায়িত্বরতরা নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতা উপভোগ করবেন। দেশের মর্যাদাকে গৌরবের শীর্ষে নিয়ে যাবেন।

নতুন সরকারপ্রধান বলেন, দেশের সব মানুষকে স্বাধীন, নির্ভয়, নির্ভার, নিরুদ্রেক থাকার নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য ছাত্ররা শহীদ হয়েছেন। তারা গণঅভ্যুত্থান করেছেন। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট সরকার সবার সরকার। এখানে সবার আকাঙ্ক্ষা পূরণের সরকার থাকবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অরাজকতার বিষবাষ্প যে-ই ছড়াবে বিজয়ী ছাত্রজনতাসহ মুক্ত মানসিকতার মানুষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পূর্ণ শক্তি তাদের ব্যর্থ করে দেবে।

শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী সরকার দূর হয়ে গেছে। কাল সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রের, সুবিচারের, মানবাধিকারের, নির্ভয়ে মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতার জন্য, সকলের স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনের ধারণের সুযোগ প্রদানের জন্য সচেষ্ট সরকারের বলিষ্ঠ সান্নিধ্য ও সহমর্মিতা দলমত নির্বিশেষে সবাই উপভোগ করবে, এটিই আমাদের লক্ষ্য। আপনারা আমাদের লক্ষ্য পূরণে সহযোগিতা করুন।

ড. ইউনূস বলেন, আমাদের ছাত্রজনতার জন্য এটি খুব কঠিন কাজ নয়। তরুণরা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। তারা সেজন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সকলে যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে আর ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিহার করে, তাহলে বিজয় তাদেরই হবে।

সব অপরাধের বিচার হবে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

প্রকাশিত: ১১:২৭:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

সব অপরাধের বিচার হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। লক্ষ্য পূরণে দেশের সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২১ মিনিটে বঙ্গভবনে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ পাঠ করান।

তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে সরকার গঠন হয়েছে তা মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। অরাজকতার বিষবাষ্প যে ছড়াবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পূর্ণ শক্তি দিয়ে তা ব্যর্থ করবে। স্বাধীনতার সব অর্জন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।

ইউনূস বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে স্বৈরাচার সরকার নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল। এসব প্রতিষ্ঠানের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা হবে। যারা অপরাধ করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শিগগিরই উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। এই কথা সব মন্ত্রণালয়, সংস্থা, দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য। সর্বত্র অপরাধীর বিচার হবে।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটি অফিসের দায়িত্বরতরা নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতা উপভোগ করবেন। দেশের মর্যাদাকে গৌরবের শীর্ষে নিয়ে যাবেন।

নতুন সরকারপ্রধান বলেন, দেশের সব মানুষকে স্বাধীন, নির্ভয়, নির্ভার, নিরুদ্রেক থাকার নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য ছাত্ররা শহীদ হয়েছেন। তারা গণঅভ্যুত্থান করেছেন। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট সরকার সবার সরকার। এখানে সবার আকাঙ্ক্ষা পূরণের সরকার থাকবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অরাজকতার বিষবাষ্প যে-ই ছড়াবে বিজয়ী ছাত্রজনতাসহ মুক্ত মানসিকতার মানুষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পূর্ণ শক্তি তাদের ব্যর্থ করে দেবে।

শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী সরকার দূর হয়ে গেছে। কাল সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রের, সুবিচারের, মানবাধিকারের, নির্ভয়ে মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতার জন্য, সকলের স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনের ধারণের সুযোগ প্রদানের জন্য সচেষ্ট সরকারের বলিষ্ঠ সান্নিধ্য ও সহমর্মিতা দলমত নির্বিশেষে সবাই উপভোগ করবে, এটিই আমাদের লক্ষ্য। আপনারা আমাদের লক্ষ্য পূরণে সহযোগিতা করুন।

ড. ইউনূস বলেন, আমাদের ছাত্রজনতার জন্য এটি খুব কঠিন কাজ নয়। তরুণরা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। তারা সেজন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সকলে যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে আর ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিহার করে, তাহলে বিজয় তাদেরই হবে।