সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব নাকচ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, একসঙ্গে গুলি ও সংলাপ চলতে পারে না। এখন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এই সমন্বয়ক।
শনিবার (৩ আগস্ট) একটি গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।
এই সমন্বয় বলেন, যখন আমরা ডিবি হেফাজতে ছিলাম, তখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা এই প্রস্তাবের প্রতিবাদে ডিবি হেফাজতে অনশন করেছিলাম।
এর আগে, চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে গণভবনে এক জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বৈঠকে আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে তিন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিস্থিতি শান্ত করতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি। এই টিমে ১৪ দলের সিনিয়র নেতাদের যুক্ত করারও নির্দেশনা দিয়েছেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি যতœবান ও সহনশীল থাকার নির্দেশনাও দিয়েছেন।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গতকাল শুক্রবার সারা দেশে গণমিছিল করেছে। ৯ দফা দাবি আদায়ে আজ (শনিবার) দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে তাঁরা। একইসাথে দাবি আদায় না হলে আগামীকাল রোববার (৪ আগস্ট) থেকে দেশব্যাপী ‘সর্বাত্মক
অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই প্লাটফর্ম।