০২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা আন্দোলন: দিনভর সংঘর্ষে প্রাণ গেলো ৬ জনের

ছবি-সংগৃহীত

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে সারাদেশে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন, ঢাকায় দুজন ও রংপুরে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক শিক্ষার্থী।

চট্টগ্রামে ৩ জন

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ যুবলীগের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়াতে ৩ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরাম ও পথচারী রয়েছেন। অন্যজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন।

আন্দোলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অন্তত ৫ জন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন শতাধিক।

রংপুর ১ জন

রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাইদ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বেরোবির ইংরেজি বিভাগের প্রধান আসিফ আল মতিন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুর ২টায় রংপুর খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ফটকের সামনে আসেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাইদ নিহত হন।

ঢাকায় ২ জন

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে মঙ্গলবারের সংঘর্ষে ঢাকায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটি কলেজের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় শাজাহান (২৬) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শাজাহানকে উদ্ধার করে প্রথমে পপুলার হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন চালক আলী ও তার সহযোগী শাকিল।

এর আগে ঢাকা কলেজ এলাকায় সংঘর্ষে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক (২৭) নিহত হন। মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন এক পথচারী। পরে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সূত্র: সময়ের আলো

কোটা আন্দোলন: দিনভর সংঘর্ষে প্রাণ গেলো ৬ জনের

প্রকাশিত: ০১:০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে সারাদেশে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন, ঢাকায় দুজন ও রংপুরে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক শিক্ষার্থী।

চট্টগ্রামে ৩ জন

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ যুবলীগের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়াতে ৩ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরাম ও পথচারী রয়েছেন। অন্যজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন।

আন্দোলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অন্তত ৫ জন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন শতাধিক।

রংপুর ১ জন

রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাইদ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বেরোবির ইংরেজি বিভাগের প্রধান আসিফ আল মতিন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুর ২টায় রংপুর খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ফটকের সামনে আসেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাইদ নিহত হন।

ঢাকায় ২ জন

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে মঙ্গলবারের সংঘর্ষে ঢাকায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটি কলেজের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় শাজাহান (২৬) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শাজাহানকে উদ্ধার করে প্রথমে পপুলার হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন চালক আলী ও তার সহযোগী শাকিল।

এর আগে ঢাকা কলেজ এলাকায় সংঘর্ষে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক (২৭) নিহত হন। মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন এক পথচারী। পরে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সূত্র: সময়ের আলো