০৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্পেনের চতুর্থ নাকি ইংল্যান্ডের প্রথম শিরোপা, পরিসংখ্যান কী বলছে?

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটের লড়াইয়ে স্পেনের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় ১৫ তারিখ রাত ১টায় মুখোমুখি হবে দুই দল।

ইউরোতে যৌথভাবে সর্বোচ্চ তিনটি করে শিরোপা আছে স্পেন ও চলমান আসরের স্বাগতিক জার্মানির। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারালেই রেকর্ডটি নিজেদের করে নেয়ার হাতছানি রয়েছে লা রোজাদের। রেকর্ড চতুর্থ শিরোপা জিততে নিজের দলের প্রতিও আস্থার কমতি নেই স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের।

তবে স্পেন কোচের চোখে কাজটা সহজ হবে না। কারণ প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডও ভীষণ শক্তিশালী। বিপরীতে প্রথমবারের মতো এই ট্রফির স্বাদ পেতে মুখিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড। টানা দ্বিতীয়বার ইউরোর ফাইনালে হ্যারি কেন-জুড বেলিংহ্যামরা। চলমান আসরে অবশ্য নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি ইংলিশ ফুটবলাররা। তবুও ফাইনালে নাম লিখিয়েছে দলটি।

তিন বছর আগে ইউরোর ফাইনালে ইতালির কাছে পেনাল্টিতে পরাজিত হয়ে ট্রফির কাছে গিয়েও তা বাড়ি নিয়ে যেতে পারেনি ইংলিশরা। কিন্তু এবার সেই ভুল করতে চায় না তারা। কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের তারকা নির্ভর স্পেন  দল ও গ্যারেথ সাউথগেটের প্রতিভাবান ইংল্যান্ড কেউ কারো থেকে কম যায় না বলেই মনে করা হচ্ছে।

স্বাগতিক জার্মানির মতো কিলিয়ান এমবাপের নেতৃত্বাধীন ফ্রান্স ও গতবারের রানার্স-আপ ইংল্যান্ড এবারের আসরে আগেই হট ফেভারিট ছিলো। সেদিক থেকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে ছিল দে লা ফুয়েন্তের স্পেন। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বড় আসরের ব্যর্থতাই তাদেরকে পিছিয়ে দিয়েছিল।

তার ওপর লা রোজারা গ্রুপ পর্বে তথাকথিত ‘গ্রুপ অব ডেথ’এ পড়ার পর থেকেই সামনে এগিয়ে যাবার ব্যাপারে অনিশ্চয়তায় পড়ে। ২০১৮ বিশ্বকাপ রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালি ও অপরিচিত আলবেনিয়ার বিরুদ্ধে স্পেন কতটা নিজেদের প্রমাণ করতে পারবে তা নিয়ে শুরু থেকেই শঙ্কা ছিল।

কিন্তু দুরন্ত সূচনা করে গ্রুপ পর্বে শতভাগ রেকর্ড নিয়েই নক আউট পর্বের টিকেট পায় স্পেন। এমনকি শেষ ষোলতে টুর্নামেন্টের সারপ্রাইজ প্যাকেজ জর্জিয়া যখন এগিয়ে গিয়েছিল তখনো স্পেন প্রতিপক্ষ কোন খেলোয়াড়ের গোল হজম করেনি। রবিন লি নরমান্ডের আত্মঘাতী গোলে স্পেন পিছিয়ে পড়ে। কিন্তু সেই ম্যাচে ঠিকই জয়লাভ করে কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক জার্মানির মুখোমুখি হয়।

স্টুটগার্টের ম্যাচটিতে মিকেল মেরিনোর শেষ মুহূর্তের গোলে জার্মানির বিদায় নিশ্চিত হয়। গত বছর নেশন্স লিগের শিরোপার জয় বাদে এ নিয়ে ষষ্ঠবার বড় কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে স্পেন।

১৯৮৪ সালের ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়ে স্পেনকে রানার্সআপ শিরোপা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। ১৯৬৪, ২০০৮ ও ২০১২ ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন স্পেন রেকর্ড চতুর্থ শিরোপা জয়ের নিজেদের প্রমাণে এবার আর কোনো কার্পণ্য করতে চায় না। ইংলিশদের কাঁদিয়ে সেই রেকর্ড গড়তে পুরো স্পেন দল আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামবে।

কারণ এবারের শিরোপা জিততে পারলেই ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল হিসেবে নাম লেখাবে স্পেন। সেক্ষেত্রে জার্মানিকেও পেছনে ফেলবে তারা। বিপরীতে প্রথমবারের মতো এই ট্রফির স্বাদ পেতে মুখিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড।

সূত্র: ঢাকা মেইল

স্পেনের চতুর্থ নাকি ইংল্যান্ডের প্রথম শিরোপা, পরিসংখ্যান কী বলছে?

প্রকাশিত: ০৮:৪৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটের লড়াইয়ে স্পেনের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় ১৫ তারিখ রাত ১টায় মুখোমুখি হবে দুই দল।

ইউরোতে যৌথভাবে সর্বোচ্চ তিনটি করে শিরোপা আছে স্পেন ও চলমান আসরের স্বাগতিক জার্মানির। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারালেই রেকর্ডটি নিজেদের করে নেয়ার হাতছানি রয়েছে লা রোজাদের। রেকর্ড চতুর্থ শিরোপা জিততে নিজের দলের প্রতিও আস্থার কমতি নেই স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের।

তবে স্পেন কোচের চোখে কাজটা সহজ হবে না। কারণ প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডও ভীষণ শক্তিশালী। বিপরীতে প্রথমবারের মতো এই ট্রফির স্বাদ পেতে মুখিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড। টানা দ্বিতীয়বার ইউরোর ফাইনালে হ্যারি কেন-জুড বেলিংহ্যামরা। চলমান আসরে অবশ্য নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি ইংলিশ ফুটবলাররা। তবুও ফাইনালে নাম লিখিয়েছে দলটি।

তিন বছর আগে ইউরোর ফাইনালে ইতালির কাছে পেনাল্টিতে পরাজিত হয়ে ট্রফির কাছে গিয়েও তা বাড়ি নিয়ে যেতে পারেনি ইংলিশরা। কিন্তু এবার সেই ভুল করতে চায় না তারা। কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের তারকা নির্ভর স্পেন  দল ও গ্যারেথ সাউথগেটের প্রতিভাবান ইংল্যান্ড কেউ কারো থেকে কম যায় না বলেই মনে করা হচ্ছে।

স্বাগতিক জার্মানির মতো কিলিয়ান এমবাপের নেতৃত্বাধীন ফ্রান্স ও গতবারের রানার্স-আপ ইংল্যান্ড এবারের আসরে আগেই হট ফেভারিট ছিলো। সেদিক থেকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে ছিল দে লা ফুয়েন্তের স্পেন। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বড় আসরের ব্যর্থতাই তাদেরকে পিছিয়ে দিয়েছিল।

তার ওপর লা রোজারা গ্রুপ পর্বে তথাকথিত ‘গ্রুপ অব ডেথ’এ পড়ার পর থেকেই সামনে এগিয়ে যাবার ব্যাপারে অনিশ্চয়তায় পড়ে। ২০১৮ বিশ্বকাপ রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালি ও অপরিচিত আলবেনিয়ার বিরুদ্ধে স্পেন কতটা নিজেদের প্রমাণ করতে পারবে তা নিয়ে শুরু থেকেই শঙ্কা ছিল।

কিন্তু দুরন্ত সূচনা করে গ্রুপ পর্বে শতভাগ রেকর্ড নিয়েই নক আউট পর্বের টিকেট পায় স্পেন। এমনকি শেষ ষোলতে টুর্নামেন্টের সারপ্রাইজ প্যাকেজ জর্জিয়া যখন এগিয়ে গিয়েছিল তখনো স্পেন প্রতিপক্ষ কোন খেলোয়াড়ের গোল হজম করেনি। রবিন লি নরমান্ডের আত্মঘাতী গোলে স্পেন পিছিয়ে পড়ে। কিন্তু সেই ম্যাচে ঠিকই জয়লাভ করে কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক জার্মানির মুখোমুখি হয়।

স্টুটগার্টের ম্যাচটিতে মিকেল মেরিনোর শেষ মুহূর্তের গোলে জার্মানির বিদায় নিশ্চিত হয়। গত বছর নেশন্স লিগের শিরোপার জয় বাদে এ নিয়ে ষষ্ঠবার বড় কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে স্পেন।

১৯৮৪ সালের ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়ে স্পেনকে রানার্সআপ শিরোপা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। ১৯৬৪, ২০০৮ ও ২০১২ ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন স্পেন রেকর্ড চতুর্থ শিরোপা জয়ের নিজেদের প্রমাণে এবার আর কোনো কার্পণ্য করতে চায় না। ইংলিশদের কাঁদিয়ে সেই রেকর্ড গড়তে পুরো স্পেন দল আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামবে।

কারণ এবারের শিরোপা জিততে পারলেই ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল হিসেবে নাম লেখাবে স্পেন। সেক্ষেত্রে জার্মানিকেও পেছনে ফেলবে তারা। বিপরীতে প্রথমবারের মতো এই ট্রফির স্বাদ পেতে মুখিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড।

সূত্র: ঢাকা মেইল