০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফ্রান্স-স্পেন সেমিফাইনাল: পরিসংখ্যান কী বলছে

ছবি-ইন্টারনেট

আজ ইউরোর ফাইনালে ওঠার মহারণে মুখোমুখি হচ্ছে টুর্নামেন্টের অন্যতম দুই সফল দল ফ্রান্স ও স্পেন। দুটি দলই পাঁচটি শিরোপা ভাগাভাগি করেছে। মিউনিখে আজ রাতে সেমিফাইনালের মঞ্চে দুই দলই চাইবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে একে অপরকে ছাড়িয়ে যেতে।

স্পেন জিতলে রেকর্ড সর্বোচ্চ চতুর্থ শিরোপা জিতবে তারা। ফ্রান্স জিতলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তিনটি শিরোপার রেকর্ডে স্পেন, জার্মানির সঙ্গে ভাগ বসাবে। এ পর্যন্ত ৩৬ বার দেখা হয়েছে ফ্রান্স ও স্পেনের। স্পেনের জয় আছে ১৬টি। ফ্রান্সের জয় ১৩টি। সাতটি ম্যাচ অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে। এসব ম্যাচে স্পেন গোল করেছেন ৬৪টি। ফ্রান্সের গোল ৩৯টি। ২০২১ সালের অক্টোবরে শেষবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনালে স্পেনকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল ফ্রান্স। ম্যাচের একমাত্র ও জয়সূচক গোলটি করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে।

সবশেষ আট ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতেছে স্পেন। ফ্রান্সের জয় দুটি। ড্র হয়েছে অন্যটি। এদিকে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ফ্রান্স প্রথম শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল এই স্পেনকে হারিয়ে। ১৯৮৪ সালে ঘরের মাঠ পার্ক ডু প্রিন্সেসে স্পেনকে কাঁদায় ফরাসিরা। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাইলে পাঁচ ম্যাচের চারটিতে জিতেছে স্পেন। এটা হতে যাচ্ছে লা রোজাদের ষষ্ঠ সেমিফাইনাল। তাদের চেয়ে বেশি সেমিফাইনাল খেলার রেকর্ড আছে জার্মানির (আটবার)।

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ১২ বার অংশ নিয়েছে স্পেন। তাদের চেয়ে বেশি এই টুর্নামেন্ট খেলেছে কেবল জার্মানি ১৪ বার। সবশেষ ১২ আসরের মধ্যেই ১১ বার অংশ নিয়েছে স্পেন। কেবল ১৯৯২ সালে ছিল না তারা। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। তাদের সমান সাফল্য জার্মানিরও। যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ট্রফি জয়ের রেকর্ড। স্পেন ট্রফি জেতে ১৯৬৪, ২০০৮ ও ২০১২ সালে। ১৯৯৮ সালে রানার্সআপ হয় তারা।

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা সাত ম্যাচ জিতেছে স্পেন। সবমিলিয়ে ১৭ ম্যাচের মধ্যে কেবল একটিতে হেরেছে লা রোজারা। এ সময়ে ১৪টি ম্যাচ জিতেছে তারা। ড্র করেছে দুই ম্যাচে। ইউরোতে নির্ধারিত সময়ে লা রোজাদের শেষ হারটা ২০১৬ ইউরোর শেষ ষোলোতে; ২-০ গোলে।

এবারের আসরে একমাত্র দল হিসেবে পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে জিতেছে স্পেন। আলাদা ছয়টি ভেন্যুতে ছয়টি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে তাদের। আজকের ম্যাচের ভেন্যু মিউনিখে দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই হেরেছে স্পেন। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে পাঁচবার খেলেছে ফ্রান্স। যেখানে তাদের জয় তিনটি। হার আছে দুটি। ১৯৮৪ সাল থেকে টানা ১১টি আসর খেলছে ফরাসিরা। টুর্নামেন্টে একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা।

২০১৬ সালে এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে ঘরের মাঠে পর্তুগালের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল ফ্রান্স। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা আট ম্যাচ ধরে অপরাজিত আছে ফ্রান্স। এর মধ্যে চারটি জয় ও চারটি ড্র আছে তাদের। গত ১৩ ম্যাচের কেবল একটিতে হেরেছে তারা। এ সময় ফরাসিদের জয় সাতটি ও ড্র পাঁচটি।


সর্বশেষ খবর বাঙালনিউজ এর গুগল নিউজ চ্যানেলে


সূত্র: ঢাকা মেইল

ফ্রান্স-স্পেন সেমিফাইনাল: পরিসংখ্যান কী বলছে

প্রকাশিত: ০৪:৪৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

আজ ইউরোর ফাইনালে ওঠার মহারণে মুখোমুখি হচ্ছে টুর্নামেন্টের অন্যতম দুই সফল দল ফ্রান্স ও স্পেন। দুটি দলই পাঁচটি শিরোপা ভাগাভাগি করেছে। মিউনিখে আজ রাতে সেমিফাইনালের মঞ্চে দুই দলই চাইবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে একে অপরকে ছাড়িয়ে যেতে।

স্পেন জিতলে রেকর্ড সর্বোচ্চ চতুর্থ শিরোপা জিতবে তারা। ফ্রান্স জিতলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তিনটি শিরোপার রেকর্ডে স্পেন, জার্মানির সঙ্গে ভাগ বসাবে। এ পর্যন্ত ৩৬ বার দেখা হয়েছে ফ্রান্স ও স্পেনের। স্পেনের জয় আছে ১৬টি। ফ্রান্সের জয় ১৩টি। সাতটি ম্যাচ অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে। এসব ম্যাচে স্পেন গোল করেছেন ৬৪টি। ফ্রান্সের গোল ৩৯টি। ২০২১ সালের অক্টোবরে শেষবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনালে স্পেনকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল ফ্রান্স। ম্যাচের একমাত্র ও জয়সূচক গোলটি করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে।

সবশেষ আট ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতেছে স্পেন। ফ্রান্সের জয় দুটি। ড্র হয়েছে অন্যটি। এদিকে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ফ্রান্স প্রথম শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল এই স্পেনকে হারিয়ে। ১৯৮৪ সালে ঘরের মাঠ পার্ক ডু প্রিন্সেসে স্পেনকে কাঁদায় ফরাসিরা। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাইলে পাঁচ ম্যাচের চারটিতে জিতেছে স্পেন। এটা হতে যাচ্ছে লা রোজাদের ষষ্ঠ সেমিফাইনাল। তাদের চেয়ে বেশি সেমিফাইনাল খেলার রেকর্ড আছে জার্মানির (আটবার)।

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ১২ বার অংশ নিয়েছে স্পেন। তাদের চেয়ে বেশি এই টুর্নামেন্ট খেলেছে কেবল জার্মানি ১৪ বার। সবশেষ ১২ আসরের মধ্যেই ১১ বার অংশ নিয়েছে স্পেন। কেবল ১৯৯২ সালে ছিল না তারা। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। তাদের সমান সাফল্য জার্মানিরও। যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ট্রফি জয়ের রেকর্ড। স্পেন ট্রফি জেতে ১৯৬৪, ২০০৮ ও ২০১২ সালে। ১৯৯৮ সালে রানার্সআপ হয় তারা।

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা সাত ম্যাচ জিতেছে স্পেন। সবমিলিয়ে ১৭ ম্যাচের মধ্যে কেবল একটিতে হেরেছে লা রোজারা। এ সময়ে ১৪টি ম্যাচ জিতেছে তারা। ড্র করেছে দুই ম্যাচে। ইউরোতে নির্ধারিত সময়ে লা রোজাদের শেষ হারটা ২০১৬ ইউরোর শেষ ষোলোতে; ২-০ গোলে।

এবারের আসরে একমাত্র দল হিসেবে পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে জিতেছে স্পেন। আলাদা ছয়টি ভেন্যুতে ছয়টি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে তাদের। আজকের ম্যাচের ভেন্যু মিউনিখে দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই হেরেছে স্পেন। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে পাঁচবার খেলেছে ফ্রান্স। যেখানে তাদের জয় তিনটি। হার আছে দুটি। ১৯৮৪ সাল থেকে টানা ১১টি আসর খেলছে ফরাসিরা। টুর্নামেন্টে একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা।

২০১৬ সালে এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে ঘরের মাঠে পর্তুগালের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল ফ্রান্স। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা আট ম্যাচ ধরে অপরাজিত আছে ফ্রান্স। এর মধ্যে চারটি জয় ও চারটি ড্র আছে তাদের। গত ১৩ ম্যাচের কেবল একটিতে হেরেছে তারা। এ সময় ফরাসিদের জয় সাতটি ও ড্র পাঁচটি।


সর্বশেষ খবর বাঙালনিউজ এর গুগল নিউজ চ্যানেলে


সূত্র: ঢাকা মেইল