নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সৌম্য সরকার যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, সবাই ধরেই নিয়েছিল বাংলাদেশ এই ম্যাচে ৩০০ রানের মার্ক স্পর্শ করবে। ব্যাপারটা অসম্ভব ছিল না, যতক্ষণ পর্যন্ত হাসারাঙ্গা দেখা না দিলেন। লঙ্কান ক্রিকেটে এই অলরাউন্ডার এখন সবচেয়ে বড় তারকা। বাংলাদেশের সর্বনাশটাও তিনিই করেছেন। এরপরেও অবশ্য তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে ভর করে বড় এক পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা।
চার উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের মিডলঅর্ডার একাই ধসিয়ে দিয়েছেন হাসারাঙ্গা। মাঝের ওভারের সেই বিপর্যয়ের পর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ খুব একটা ছিল না টাইগারদের সামনে। শেষ অব্দি যদিও লড়ে গেছেন হৃদয়। শুরুতে সৌম্য সরকারের পর ইনিংসের শেষে হাফসেঞ্চুরি করেছেন তিনি। অল্পের জন্য মিস করে গিয়েছেন সেঞ্চুরি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৬ রানের ইনিংস খেলেছেন হৃদয়।
চট্টগ্রামের রানসহায়ক উইকেটে তার দারুণ এক ইনিংসের গুণে বাংলাদেশের স্কোর ৮ উইকেটে ২৮৬ রান। এরসঙ্গে অধিনায়ক শান্ত করেছেন ৪০ রান। একেবারে শেষ পর্যায়ে হৃদয়ের বড় শট আর তাসকিনের ক্যামিওতে টাইগাদের ইনিংসটা হয়েছে আরেকটু বড়। সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৮ রান। শেষদিকে তাসকিন ১০ বলে ১৮ করে দলের স্কোর বাড়িয়ে নিয়েছেন ২৮৬ পর্যন্ত।