ফাইনাল নিশ্চিতের পর আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে ভুটানের জালে গোলউৎসব করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে অনূর্ধ্ব-১৬ নারী সাফে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
গ্রুপপর্বের তিন ম্যাচেই জিতে অপরাজিত থেকেই ফাইনালের প্রস্তুতি সেরে ফেলল সাইফুল বারী টিটুর দল। উল্টো দিকে তিন ম্যাচে ১৯ গোল হজম করা ভুটান হারল সব ম্যাচেই।
১০ মার্চ এই আনফা কমপ্লেক্সে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজের মেয়েরা।
ম্যাচের প্রথম গোল পায় বাংলাদেশ ১৩ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে ফাতেমা আক্তারের ক্রস ঠেকাতে বক্সের সামনে চলে এসেছিলেন ভুটানি গোলরক্ষক কেলজাং ওয়াংমো। গোলরক্ষক বল গ্লাভসে নেওয়ার আগেই হেডে টুর্নামেন্টে নিজের চতুর্থ গোল তুলে নেন সুরভী আকন্দ প্রীতি।
২৭ মিনিটের সময় ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। কিন্তু ফাঁকা পোস্টে নিজে শট না নিয়ে সতীর্থকে বল বাড়িয়ে সুযোগ নষ্ট করেন সাথী মুন্ডা। তবে একটু পর দুই মিনিটের মধ্যে আরও দুই গোলে ম্যাচে চালকের আসনে বসে যায় বাংলাদেশ।
গোল করানো ফাতেমা ৩৩ মিনিটে নিজেই নাম তুলেছেন গোল খাতায়। প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে নেওয়া ফাতেমার ফ্রিকিকে বল ভুটানি গোলরক্ষকের নাগালের বাইরে দিয়ে সোজা জড়ায় জালে। এভাবে যে গোল পাবেন সেটা যেন নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ফাতেমা, গোলের পর কোমরে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ হেসেছেন অবিশ্বাসের হাসি!
দুই মিনিট পর ফাতেমা গোল করালেন ক্রানুচিং মারমাকে দিয়ে। ফাতেমার মাপা কর্নারে বল পান অরক্ষিত ক্রানুচিং, আলতো টোকায় বল পাঠান জালে।
দ্বিতীয়ার্ধের পরপরই ব্যবধান ৪-০ করেন সাথী মুন্ডা। বাঁ প্রান্ত থেকে বদলি খেলোয়াড় মৌমিতা খাতুনের ক্রস থেকে সুরভীর পা ছুঁয়ে বল যায় পোস্টের মুখে অরক্ষিত সাথীর পায়ে। সহজ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবধান বড় করেন বাংলাদেশি উইঙ্গার।
৬৯ মিনিটে ব্যবধানটা আরও বড় করেন থুইনুই মারমা। আগের মিনিটে তার একটি শট ঠেকান ভুটান গোলরক্ষক। পরের মিনিটে মৌমিতা খাতুনের ক্রস ধরে দূর পোস্টে জোরালো শট নেন থুইনুই, বল ভুটান গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় জালে।
সুরভী ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল তুলে নেন ৭৭ মিনিটে। আরিফা আক্তারের বাড়ানো বলে ভুটানের চার ফুটবলারকে ফাঁকি দিয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে টুর্নামেন্টে নিজের পঞ্চম গোল আদায় করে নেন বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড। পাঁচ গোলে ফাইনালের আগে সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন সুরভী। প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষেও জোড়া গোল ছিল তার। গোল ছিল ভারতের বিপক্ষেও। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিকও পেতে পারতেন প্রীতি, কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে তার শট ঠেকান গোলরক্ষক। প্রীতির আর হ্যাটট্রিক হয়নি, ব্যবধানটা আরেকটু বড় হয়নি বাংলাদেশের।