১১:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টি আইনে হেরে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টেয়েন্টিতে বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে হেরেছে টাইগাররা। যার ফলে হার দিয়ে বছর শেষ করলো বাংলাদেশ। এতে করে তিন ম্যাচ সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হলো। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।

রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১১০ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে নিউজিল্যান্ড ১৪.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান সংগ্রহ করে। বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে এগিয়ে থাকায় জয় তুলে নেয় কিউইরা।

বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬ রানেই প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। কিউই শিবিরে শুরুতেই আঘাত হানেন মেহেদী হাসান। মেহেদীর শিকার হয়ে ৩ বলে মাত্র ১ রান করেই সাজঘরে ফিরে যান টিম সেইফার্ট।

টিম সেইফার্টের পর ড্যারেল মিচেলকেও ফেরান মেহেদী হাসান। মেহেদীর বলে মিড অফে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ তুরে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান মিচেল। আউট হওয়া আগে করেন ৫ বলে ১ রান।

মেহেদী হাসানের পর কিউই শিবিরে আঘাত হানেন পেসার শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান গ্লেন ফিলিপস। সেইফার্ট আর মিচেলের মতো তিনিও ফিরে যান মাত্র ১ রান করেই।

গ্লেন ফিলিপসের পর রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান মার্ক চ্যাপম্যান। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে জোড়া রানের চেষ্টায় ছিলেন চাপম্যান ও অ্যালেন। কিন্তু ক্রিজের মাঝখানে দুজনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর তাদের গতি কমে যায়। চাপম্যান ক্রিজে পৌঁছার আগে আফিফ হোসেনের থ্রো করা বল ধরে উইকেট ভেঙে দেন মুস্তাফিজ। তার বিদায়ে ৪৯ রানেই ৫ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।

৪৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন জিমি নিশাম ও ড্যারেল মিচেল। এই জুটির ৪৬ রানে ভর করে ১৪ ওভার ৪ বলে ৯৫ রান তুলে কিউইরা। এরপরেই বাগড়া দেয় বৃষ্টি।

তখনই তারা ১৭ রানে এগিয়ে ছিল। গ্যালারিতে দর্শকদের মাঝে ছুটোছুটি ফেলে দেওয়া ঝোড়ো বৃষ্টি আর ক্রিকেটারদের মাঠে নামতে দেয়নি। ফলে ১৭ রানে জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল নিউজিল্যান্ড। এর আগে বে ওভালে আগে ব্যাটিং করা কোনো দলই (৮ ম্যাচ) হারেনি, যেখানে বাংলাদেশই প্রথম!

এর আগে মাউন্ট মাউঙ্গানুইয়ের বে ওভালে টসে জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন সৌম্য সরকার ও রনি তালুকদার।

তবে নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি তারা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই টিম সাউদির বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পরেন সৌম্য সরকার। আম্পায়ারের আবেদনের বিরুদ্ধে রিভিউ নিয়েছিলেন সৌম্য। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে কাঁটা পড়ে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

তিন নাম্বারে নেমে রনি তালুকদারকে নিয়ে জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে শান্তও বেশি সময় থাকতে পারেননি ক্রিজে। অতি-আক্রমণাত্মক হয়ে ওটা শান্ত দলীয় ৩১ রানে অ্যাডাম মিলনের বলে বাউন্ডারি মারার চেষ্টায় ফিন অ্যালেনের হাতে ক্যাচ দেন। আউট হওয়ার আগে করেন ১৫ বলে তিনি ১৭ রান। তিনিই বাংলাদেশের হয়ে আজ সর্বোচ্চ রান করেছেন।

নাজমুল হোসেন শান্তর পর সাজঘরে ফিরে যান রনি তালুকদারও। ১০ বলে ১০ রান করে বেন সিয়ার্সের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ৪১ রানেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

৪১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন। এই জুটিকেও বেশি বড় করতে দেননি মিচেল স্যান্টনার। উইকেটরক্ষক টিম সেইফার্টের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান আফিফ হোসেন। আউট হওয়ার আগের করেন ১৩ বলে ১৪ রান।

আফিফের বিদায়ে ৫৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিপদ আর বাড়িয়ে একে একে সাজঘরে ফিরে যান তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান ও শামীম পাটোয়ারী। এই তিন ব্যাটারকেও ফেরান স্যান্টনার। তাওহীদ হৃদয় ১৮ বলে ১৬, মেহেদী হাসান ১৩ বলে ৪ ও শামীম পাটোয়ারী ১৪ বলে ৯ রান করে ফিরে যান সাজঘরে।

বাংলাদেশের টেল-এন্ডারে আর ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। তবে তাদের প্রচেষ্টায় দলীয় রান তিন অঙ্ক পেরোয়। সিয়ার্সের বলে শরীফুলের বিদায়ে ৮৭ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফলে শেষ দুই উইকেটে ২৩ রানই তাদের বড় পাওয়া, যেখানে রিশাদের ব্যাটে আসে ১০ রান। যদিও সফরকারীদের পুরো ওভার খেলা হয়নি। ১৯.২ ওভারেই ১১০ রানে অলআউট বাংলাদেশ।

কিউইদের হয়ে স্যান্টনার ৪ টি, সাউদি, মিলনে ও সিয়ার্স প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন। কেবল সোধি উইকেট না পেলেও, নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন তিনি।

বিষয়

বৃষ্টি আইনে হেরে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৩:৪৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টেয়েন্টিতে বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে হেরেছে টাইগাররা। যার ফলে হার দিয়ে বছর শেষ করলো বাংলাদেশ। এতে করে তিন ম্যাচ সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হলো। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।

রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১১০ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে নিউজিল্যান্ড ১৪.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান সংগ্রহ করে। বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে এগিয়ে থাকায় জয় তুলে নেয় কিউইরা।

বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬ রানেই প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। কিউই শিবিরে শুরুতেই আঘাত হানেন মেহেদী হাসান। মেহেদীর শিকার হয়ে ৩ বলে মাত্র ১ রান করেই সাজঘরে ফিরে যান টিম সেইফার্ট।

টিম সেইফার্টের পর ড্যারেল মিচেলকেও ফেরান মেহেদী হাসান। মেহেদীর বলে মিড অফে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ তুরে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান মিচেল। আউট হওয়া আগে করেন ৫ বলে ১ রান।

মেহেদী হাসানের পর কিউই শিবিরে আঘাত হানেন পেসার শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান গ্লেন ফিলিপস। সেইফার্ট আর মিচেলের মতো তিনিও ফিরে যান মাত্র ১ রান করেই।

গ্লেন ফিলিপসের পর রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান মার্ক চ্যাপম্যান। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে জোড়া রানের চেষ্টায় ছিলেন চাপম্যান ও অ্যালেন। কিন্তু ক্রিজের মাঝখানে দুজনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর তাদের গতি কমে যায়। চাপম্যান ক্রিজে পৌঁছার আগে আফিফ হোসেনের থ্রো করা বল ধরে উইকেট ভেঙে দেন মুস্তাফিজ। তার বিদায়ে ৪৯ রানেই ৫ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।

৪৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন জিমি নিশাম ও ড্যারেল মিচেল। এই জুটির ৪৬ রানে ভর করে ১৪ ওভার ৪ বলে ৯৫ রান তুলে কিউইরা। এরপরেই বাগড়া দেয় বৃষ্টি।

তখনই তারা ১৭ রানে এগিয়ে ছিল। গ্যালারিতে দর্শকদের মাঝে ছুটোছুটি ফেলে দেওয়া ঝোড়ো বৃষ্টি আর ক্রিকেটারদের মাঠে নামতে দেয়নি। ফলে ১৭ রানে জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল নিউজিল্যান্ড। এর আগে বে ওভালে আগে ব্যাটিং করা কোনো দলই (৮ ম্যাচ) হারেনি, যেখানে বাংলাদেশই প্রথম!

এর আগে মাউন্ট মাউঙ্গানুইয়ের বে ওভালে টসে জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন সৌম্য সরকার ও রনি তালুকদার।

তবে নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি তারা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই টিম সাউদির বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পরেন সৌম্য সরকার। আম্পায়ারের আবেদনের বিরুদ্ধে রিভিউ নিয়েছিলেন সৌম্য। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে কাঁটা পড়ে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

তিন নাম্বারে নেমে রনি তালুকদারকে নিয়ে জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে শান্তও বেশি সময় থাকতে পারেননি ক্রিজে। অতি-আক্রমণাত্মক হয়ে ওটা শান্ত দলীয় ৩১ রানে অ্যাডাম মিলনের বলে বাউন্ডারি মারার চেষ্টায় ফিন অ্যালেনের হাতে ক্যাচ দেন। আউট হওয়ার আগে করেন ১৫ বলে তিনি ১৭ রান। তিনিই বাংলাদেশের হয়ে আজ সর্বোচ্চ রান করেছেন।

নাজমুল হোসেন শান্তর পর সাজঘরে ফিরে যান রনি তালুকদারও। ১০ বলে ১০ রান করে বেন সিয়ার্সের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ৪১ রানেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

৪১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন। এই জুটিকেও বেশি বড় করতে দেননি মিচেল স্যান্টনার। উইকেটরক্ষক টিম সেইফার্টের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান আফিফ হোসেন। আউট হওয়ার আগের করেন ১৩ বলে ১৪ রান।

আফিফের বিদায়ে ৫৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিপদ আর বাড়িয়ে একে একে সাজঘরে ফিরে যান তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান ও শামীম পাটোয়ারী। এই তিন ব্যাটারকেও ফেরান স্যান্টনার। তাওহীদ হৃদয় ১৮ বলে ১৬, মেহেদী হাসান ১৩ বলে ৪ ও শামীম পাটোয়ারী ১৪ বলে ৯ রান করে ফিরে যান সাজঘরে।

বাংলাদেশের টেল-এন্ডারে আর ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। তবে তাদের প্রচেষ্টায় দলীয় রান তিন অঙ্ক পেরোয়। সিয়ার্সের বলে শরীফুলের বিদায়ে ৮৭ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফলে শেষ দুই উইকেটে ২৩ রানই তাদের বড় পাওয়া, যেখানে রিশাদের ব্যাটে আসে ১০ রান। যদিও সফরকারীদের পুরো ওভার খেলা হয়নি। ১৯.২ ওভারেই ১১০ রানে অলআউট বাংলাদেশ।

কিউইদের হয়ে স্যান্টনার ৪ টি, সাউদি, মিলনে ও সিয়ার্স প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন। কেবল সোধি উইকেট না পেলেও, নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন তিনি।