শান্ত ফেরার পর মুমিনুল উইকেটে এসে মাত্র এক বল খেলেছেন। এরপরই আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন আম্পায়াররা। দুই দলের ক্রিকেটাররাই ড্রেসিংরুমে ফিরে গেছেন। তবে আম্পায়াররা এখনো মাঠে অবস্থান করছেন। যদি অল্প সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়, তবে খেলা আবারও মাঠে গড়াবে।
৮ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। উইকেটে এসেই দলকে আরো ব্যাকফুটে ঠেলে দেন মাহমুদুল হাসান জয়। এই ওপেনার প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন। অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে স্লিপে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২ রান।
প্রথম ওভারে জয় ফেরার পর দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। টিম সাউদির করা অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল লেন্থের বল ইনসাইড আউট করে মিড অফের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন, তবে দূরত্ব কিংবা উচ্চতা কিছুই পাননি। ১৫ রান করে মিড অফে কেন উইলিয়ামসনের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন।
এখনো পর্যন্ত নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ অভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান করেছে বাংলাদেশ। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে কিউইদের থেকে ৩০ রানে এগিয়ে আছে স্বাগতিকরা।
এর আগে প্রথম দিনের ৫ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। খানিকটা ভেজা উইকেটেও শুরু থেকেই স্পিন আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। তবে খুব বেশি সুবিধা পাননি তাইজুল-মিরাজরা। সেই সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন মিচেল-ফিলিপস।
এই দুইজনের দারুণ ব্যাটিং শঙ্কায় ফেলেছিল বাংলাদেশকে। তবে ইনিংসের ২২তম ওভারে মিচেলকে ফিরিয়ে ৪৯ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান। মিচেলের ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ রান। এরপর সুবিধা করতে পারেননি মিচেল স্যান্টনার। ১ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি।
তবে আটে ব্যাটিং করতে নেমে ফিলিপসকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন কাইল জেমিসন। তার ২৮ বলে ২০ রানের ইনিংস ভরসা জুগিয়েছে অপর প্রান্তে থাকা ফিলিপসকে। জেমিসনের পর সাউদিও করেছেন গুরুত্বপূর্ণ ১৪ রান।
সাউদি-জেমিসনকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের রান টপকাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন ফিলিপস। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি হাতছাড়ার আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরলেও দলকে ঠিকই লিড এনে দিয়েছেন। ফিলিপস ৮৭ রান করে আউট হলে নিউজিল্যান্ড থামে ১৮০ রানে।