১১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড় জয়ে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ শুরু

প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানি ব্যাটারদের ভুগিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের বোলাররা। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ডাচ ব্যাটাররাও একই তালে দাপট দেখাতে শুরু করেন। যা শোচনীয় কোনো ফলাফলের শঙ্কায়ও ফেলে দিচ্ছিল বাবর আজমের দলকে। তবে ডাচ ব্যাটারদের ঠিক ‘গলার কাঁটা’ হয়ে উঠতে দেননি হারিস রউফ ও হাসান আলীরা। পাকিস্তানের দেওয়া ২৮৭ রানের জবাবে নেদারল্যান্ডস ২০৫ রানেই গুটিয়ে গেছে। ফলে বিশ্বকাপ যাত্রার শুরুতেই ৮১ রানের বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান।

নেদারল্যান্ডসের হয়ে এদিন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন ওপেনার ভিক্রমজিত সিং ও বাস ডি লিড। বল হাতে চারটি উইকেট নিয়ে এর আগে ডি লিড পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর ব্যাট হাতেও দারুণ প্রভাবশালী ছিলেন তিনি। বিপরীতে ডাচ ব্যাটারদের বিপক্ষে মিতব্যয়ী বোলিংয়ে ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করে গেছেন পেসার হাসান আলী।

পাকিস্তানের হয়ে রউফ ৩টি, হাসান আলী ২টি এবং শাহিন আফ্রিদি, নেওয়াজ, শাদাব ও ইফতিখার উইকেট নেন একটি করে।

এর আগে হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩০ রানের মাথায় তিন উইকেট হারায় বাবর আজমের দল। দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে বিশ্বকাপে পা রাখা ডাচরা যেন ভিন্ন কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। সেখান থেকে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল পাকিস্তানকে টেনে তোলেন। সমান ৬৮ রানের ইনিংস খেলেছেন দুজনই। এছাড়া শেষদিকে মোহাম্মদ নেওয়াজ ও শাদাব খানের ত্রিশ পেরোনো ইনিংসে বাবররা জয়ের ভিত পায়। পাকিস্তানের এমন ব্যাটিং দৈন্যতায় বড় ভূমিকা রেখেছেন ডাচ পেসার বাস ডি লিড। তিনি একাই চার উইকেট নিয়েছেন।

এদিন মাত্র ৩৮ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান দারুণ বিপর্যয়ে পড়ে। তাদের খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলতে অভিজ্ঞ ব্যাটার রিজওয়ান সঙ্গী বানান তরুণ বাঁ-হাতি সৌদ শাকিলকে। দুজনে ধীরে চাপে ফেলতে থাকেন ডাচ বোলারদের ওপর। তাদের জুটিতে ১৯৯২-এর বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ১২০ রানের শক্ত ভিত পায়।

নেদারল্যান্ডসের হয়ে ডি লিডের চারটি ছাড়াও দুটি উইকেট নিয়েছেন অ্যাকারম্যান। এছাড়া আয়ান, ভ্যান বিক ও মিকেরান একটি করে শিকার করেন।

বিষয়

বড় জয়ে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ শুরু

প্রকাশিত: ০৭:১০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩

প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানি ব্যাটারদের ভুগিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের বোলাররা। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ডাচ ব্যাটাররাও একই তালে দাপট দেখাতে শুরু করেন। যা শোচনীয় কোনো ফলাফলের শঙ্কায়ও ফেলে দিচ্ছিল বাবর আজমের দলকে। তবে ডাচ ব্যাটারদের ঠিক ‘গলার কাঁটা’ হয়ে উঠতে দেননি হারিস রউফ ও হাসান আলীরা। পাকিস্তানের দেওয়া ২৮৭ রানের জবাবে নেদারল্যান্ডস ২০৫ রানেই গুটিয়ে গেছে। ফলে বিশ্বকাপ যাত্রার শুরুতেই ৮১ রানের বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান।

নেদারল্যান্ডসের হয়ে এদিন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন ওপেনার ভিক্রমজিত সিং ও বাস ডি লিড। বল হাতে চারটি উইকেট নিয়ে এর আগে ডি লিড পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর ব্যাট হাতেও দারুণ প্রভাবশালী ছিলেন তিনি। বিপরীতে ডাচ ব্যাটারদের বিপক্ষে মিতব্যয়ী বোলিংয়ে ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করে গেছেন পেসার হাসান আলী।

পাকিস্তানের হয়ে রউফ ৩টি, হাসান আলী ২টি এবং শাহিন আফ্রিদি, নেওয়াজ, শাদাব ও ইফতিখার উইকেট নেন একটি করে।

এর আগে হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩০ রানের মাথায় তিন উইকেট হারায় বাবর আজমের দল। দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে বিশ্বকাপে পা রাখা ডাচরা যেন ভিন্ন কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। সেখান থেকে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল পাকিস্তানকে টেনে তোলেন। সমান ৬৮ রানের ইনিংস খেলেছেন দুজনই। এছাড়া শেষদিকে মোহাম্মদ নেওয়াজ ও শাদাব খানের ত্রিশ পেরোনো ইনিংসে বাবররা জয়ের ভিত পায়। পাকিস্তানের এমন ব্যাটিং দৈন্যতায় বড় ভূমিকা রেখেছেন ডাচ পেসার বাস ডি লিড। তিনি একাই চার উইকেট নিয়েছেন।

এদিন মাত্র ৩৮ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান দারুণ বিপর্যয়ে পড়ে। তাদের খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলতে অভিজ্ঞ ব্যাটার রিজওয়ান সঙ্গী বানান তরুণ বাঁ-হাতি সৌদ শাকিলকে। দুজনে ধীরে চাপে ফেলতে থাকেন ডাচ বোলারদের ওপর। তাদের জুটিতে ১৯৯২-এর বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ১২০ রানের শক্ত ভিত পায়।

নেদারল্যান্ডসের হয়ে ডি লিডের চারটি ছাড়াও দুটি উইকেট নিয়েছেন অ্যাকারম্যান। এছাড়া আয়ান, ভ্যান বিক ও মিকেরান একটি করে শিকার করেন।