১১:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার যেসব তারকার শেষ বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের কারা?

দরজায় কড়া নাড়ছে ভারত বিশ্বকাপ। আগামী ৫ অক্টোবর গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে পর্দা উঠবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩ তম সংস্করণের। আর ১৯ নভেম্বর একই মাঠে ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে বিশ্বকাপের।

বিশ্বকাপ আসলে ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে আনন্দের ঢেউ খেলে যায়, তেমন বিষাদের রাগিনীও বেজে ওঠে। প্রতি আসরেই নিজেদের আগমনী বার্তা জানান দেয় একঝাঁক উদীয়মান তারকা। আরেকদিকে বয়সের সঙ্গে লড়ে বিদায় নেয় ধ্রুবতারারা। যাকে বলা হয় নতুনের আগমনে পুরোনোর বিদায় নেওয়া। এবার বিদায় নেওয়ার তালিকাটা বেশ দীর্ঘ হতে পারে।

একদিনের ক্রিকেটে শেষ বিশ্বকাপ খেলার তালিকায় থাকতে পারেন বাংলাদেশি সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। এ ছাড়া ভারতের রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার, ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস, মঈন আলি, নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন, টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টদেরও হতে পারে এটিই শেষ বিশ্বকাপ। এ তালিকায় আছেন আরও অনেকে।

 

চার বছর পর পর বিশ্বকাপ। এবার যারা খেলছেন পরবর্তী আসরে তারা খেলতে পারবেন কি না নিশ্চয়তা নেই। ব্যস্ত খেলার শিডিউলে ইনজুরি, বাদ পড়া কিংবা অন্য কোনো সমস্যা থাকতেই পারে। যেমন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবালের কথাই ধরা যাক। কে ভেবেছিল তিনি এ বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না?

মাস তিনেক আগেও ছিলেন ওয়ানডে ফরম্যাটে দেশের নেতা। স্বপ্ন দেখছিলেন বিশ্বকাপে ভালো কিছুর। কিন্তু এবার তিনি বিশ্বকাপেই নেই! ফলে ধরে নেওয়া যায় তামিম ইকবালের জন্য ২০১৯ আসরই ছিল শেষ বিশ্বকাপ। সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা এক্ষেত্রে ভাগ্যবান। টাইগার অধিনায়ক সাকিব এ নিয়ে পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে নামছেন।

স্বাগতিক ভারত দলেও অনেকের এটাই হতে পারে শেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সম্প্রতি নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলার কথা জানিয়ে দিয়েছেন শেষ মুহূর্তে দলে সুযোগ পাওয়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এ ছাড়া বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রবীন্দ্র জাদেজারাও হয়তো শেষটা দেখছেন এ আসরে। বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে তাই শেষটা ঘরের মাঠে রাঙানোর স্বপ্ন ভারতের।

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস, জো রুট, জস বাটলারদের জন্যও এটা হতে পারে শেষ বিশ্বকাপ। বিদায় বলতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার। এছাড়া অজি শিবিরে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথ, মিচেল মার্শ, মিচেল স্টার্কদেরও আরেকটা বিশ্বকাপ খেলা হতে পারে কঠিন।

নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের জন্যও শেষ সুযোগ হতে পারে ভারত বিশ্বকাপ। কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদিরও এটা হতে পারে শেষবার রাঙানোর মঞ্চ।

এদিকে, আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী, দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক আর ডেভিড মিলার, শ্রীলঙ্কার দিমুথ করুনারত্নেদের জন্যও ভারত বিশ্বকাপই হতে পারে শেষ। তবে এ ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম পাকিস্তান। বাবর আজমদের এবারের বিশ্বকাপ দলটা তুলনামূলক তরুণে ভরা। বয়স ত্রিশের আশপাশে প্রায় সবারই। তবে পাকিস্তান ক্রিকেটে চাচা খ্যাত ইফতেখার আহমেদের এটাই হতে পারে শেষ বিশ্বকাপ।

বয়স বাড়লেই সব শেষ, সবক্ষেত্রে এমনটা নাও হতে পারে। ব্যতিক্রম যেমন নেদারল্যান্ডসের ৩৫ বছর বয়সী সায়ব্র্যান্ড অ্যাঙ্গেল রেট। ভারত বিশ্বকাপে ডাচদের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন তিনি।

বিষয়

এবার যেসব তারকার শেষ বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের কারা?

প্রকাশিত: ০১:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩

দরজায় কড়া নাড়ছে ভারত বিশ্বকাপ। আগামী ৫ অক্টোবর গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে পর্দা উঠবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩ তম সংস্করণের। আর ১৯ নভেম্বর একই মাঠে ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে বিশ্বকাপের।

বিশ্বকাপ আসলে ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে আনন্দের ঢেউ খেলে যায়, তেমন বিষাদের রাগিনীও বেজে ওঠে। প্রতি আসরেই নিজেদের আগমনী বার্তা জানান দেয় একঝাঁক উদীয়মান তারকা। আরেকদিকে বয়সের সঙ্গে লড়ে বিদায় নেয় ধ্রুবতারারা। যাকে বলা হয় নতুনের আগমনে পুরোনোর বিদায় নেওয়া। এবার বিদায় নেওয়ার তালিকাটা বেশ দীর্ঘ হতে পারে।

একদিনের ক্রিকেটে শেষ বিশ্বকাপ খেলার তালিকায় থাকতে পারেন বাংলাদেশি সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। এ ছাড়া ভারতের রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার, ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস, মঈন আলি, নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন, টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টদেরও হতে পারে এটিই শেষ বিশ্বকাপ। এ তালিকায় আছেন আরও অনেকে।

 

চার বছর পর পর বিশ্বকাপ। এবার যারা খেলছেন পরবর্তী আসরে তারা খেলতে পারবেন কি না নিশ্চয়তা নেই। ব্যস্ত খেলার শিডিউলে ইনজুরি, বাদ পড়া কিংবা অন্য কোনো সমস্যা থাকতেই পারে। যেমন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবালের কথাই ধরা যাক। কে ভেবেছিল তিনি এ বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না?

মাস তিনেক আগেও ছিলেন ওয়ানডে ফরম্যাটে দেশের নেতা। স্বপ্ন দেখছিলেন বিশ্বকাপে ভালো কিছুর। কিন্তু এবার তিনি বিশ্বকাপেই নেই! ফলে ধরে নেওয়া যায় তামিম ইকবালের জন্য ২০১৯ আসরই ছিল শেষ বিশ্বকাপ। সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা এক্ষেত্রে ভাগ্যবান। টাইগার অধিনায়ক সাকিব এ নিয়ে পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে নামছেন।

স্বাগতিক ভারত দলেও অনেকের এটাই হতে পারে শেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সম্প্রতি নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলার কথা জানিয়ে দিয়েছেন শেষ মুহূর্তে দলে সুযোগ পাওয়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এ ছাড়া বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রবীন্দ্র জাদেজারাও হয়তো শেষটা দেখছেন এ আসরে। বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে তাই শেষটা ঘরের মাঠে রাঙানোর স্বপ্ন ভারতের।

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস, জো রুট, জস বাটলারদের জন্যও এটা হতে পারে শেষ বিশ্বকাপ। বিদায় বলতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার। এছাড়া অজি শিবিরে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথ, মিচেল মার্শ, মিচেল স্টার্কদেরও আরেকটা বিশ্বকাপ খেলা হতে পারে কঠিন।

নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের জন্যও শেষ সুযোগ হতে পারে ভারত বিশ্বকাপ। কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদিরও এটা হতে পারে শেষবার রাঙানোর মঞ্চ।

এদিকে, আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী, দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক আর ডেভিড মিলার, শ্রীলঙ্কার দিমুথ করুনারত্নেদের জন্যও ভারত বিশ্বকাপই হতে পারে শেষ। তবে এ ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম পাকিস্তান। বাবর আজমদের এবারের বিশ্বকাপ দলটা তুলনামূলক তরুণে ভরা। বয়স ত্রিশের আশপাশে প্রায় সবারই। তবে পাকিস্তান ক্রিকেটে চাচা খ্যাত ইফতেখার আহমেদের এটাই হতে পারে শেষ বিশ্বকাপ।

বয়স বাড়লেই সব শেষ, সবক্ষেত্রে এমনটা নাও হতে পারে। ব্যতিক্রম যেমন নেদারল্যান্ডসের ৩৫ বছর বয়সী সায়ব্র্যান্ড অ্যাঙ্গেল রেট। ভারত বিশ্বকাপে ডাচদের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন তিনি।