১১:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭ দিনে রিজার্ভ কমল দেড় বিলিয়ন ডলার

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের আমদানি বিল বাবদ ১২৭ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে সংকট মেটাতে বাজারে প্রতিদিনিই ডলার বি‌ক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফ‌লে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

চলতি জানুয়ারি মাসের শুরুতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। আকুর পেমেন্ট ও ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় রিজার্ভ আবারও কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫৬ কোটি ডলার কমে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫৪৩  কোটি ডলারে।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে রিজার্ভের এ চিত্র পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রোস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৪৩ কোটি (২৫ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন) ডলার। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যাথোডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫২৫ কোটি (৫.২৫ বিলিয়ন) ডলারের পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ দুই হাজার ১৮ কোটি ডলার বা ২০ দশমিক ১৮ বিলিয়ন।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩  বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাজারে প্রচুর ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া এ মাসে আকুর বিলও পরিশোধ হয়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কমছে।

৭ দিনে রিজার্ভ কমল দেড় বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত: ০২:০৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের আমদানি বিল বাবদ ১২৭ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে সংকট মেটাতে বাজারে প্রতিদিনিই ডলার বি‌ক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফ‌লে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

চলতি জানুয়ারি মাসের শুরুতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। আকুর পেমেন্ট ও ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় রিজার্ভ আবারও কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫৬ কোটি ডলার কমে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫৪৩  কোটি ডলারে।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে রিজার্ভের এ চিত্র পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রোস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৪৩ কোটি (২৫ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন) ডলার। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যাথোডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫২৫ কোটি (৫.২৫ বিলিয়ন) ডলারের পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ দুই হাজার ১৮ কোটি ডলার বা ২০ দশমিক ১৮ বিলিয়ন।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩  বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাজারে প্রচুর ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া এ মাসে আকুর বিলও পরিশোধ হয়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কমছে।