০৫:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১২১ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থীতা প্রত্যাহার যেকোনো সময়

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত মহাজোট মনোনীত ১২১ বৈধ প্রার্থী যে কোনো সময়ে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হোসেন।

তিনি বলেন, ‌‘আমরা কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে নির্বাচনে আসিনি বা কাউকে বৈধতা দেওয়ারও লিজ নেইনি। আমরা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকলে আমাদের মাধ্যমেই তাদের বৈধতা হাসিল হবে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কংগ্রেসের শতাধিক প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে আসা ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।’

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, ‘ক্ষমতা আরও দীর্ঘায়িত করতে বানরের রুটি ভাগের মতো যেভাবে সংসদের আসন ভাগাভাগি করছে তাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে আমরা আশঙ্কা করছি। আমরা এ ভাগাভাগির মধ্যে নেই। আমরা চাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে প্রতিশ্রুত পরিবেশ না পেলে বাংলাদেশ কংগ্রেসের শতাধিক প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে আসা ছাড়া বিকল্প থাকবে না। তাই জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমরা যেকোনো সময়ে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবো।’

সম্মিলিত মহাজোট প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ কংগ্রেস মূলত একটি নির্বাচনমুখী দল বলেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলাম। আমরা আমাদের জানমাল, ঘরবাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েও শুধু একটি গণমুখী দল বলেই নির্বাচনে এসেছি। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মিটিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাসে আমরাও একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করেছিলাম। আমরা মনে করেছিলাম নির্বাচনকালীন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে নির্বাচনে আসিনি বা কাউকে বৈধতা দেওয়ার লিজ নেইনি। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় মনে হচ্ছে আমরা একতরফা নির্বাচনের আয়োজনে বৈধতা দেওয়ার অনুঘটকের ভুমিকা পালন করছি। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকলে আমাদের মাধ্যমেই তাদের বৈধতা হাসিল হবে। এছাড়া দৃশ্যত মনে হচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আমাদের দলীয় জোটের প্রার্থীদের কোনো মূল্যায়ন করছে না।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়তই আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে মূলত নির্বাচনের নামে তামাশার খেলা চলছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।’

বাংলাদেশ কংগ্রেস ডাব প্রতীকে নির্বাচন করতে ১৪০ জনকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিল। যাচাই-বাছাই শেষে ১২১ জন চূড়ান্তভাবে বৈধ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনের বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব মো. ইয়ারুল ইসলাম, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোর্শেদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলুসহ অর্ধশত প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : জাগোনিউজ

বিষয়

১২১ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থীতা প্রত্যাহার যেকোনো সময়

প্রকাশিত: ০৪:০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত মহাজোট মনোনীত ১২১ বৈধ প্রার্থী যে কোনো সময়ে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হোসেন।

তিনি বলেন, ‌‘আমরা কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে নির্বাচনে আসিনি বা কাউকে বৈধতা দেওয়ারও লিজ নেইনি। আমরা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকলে আমাদের মাধ্যমেই তাদের বৈধতা হাসিল হবে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কংগ্রেসের শতাধিক প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে আসা ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।’

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, ‘ক্ষমতা আরও দীর্ঘায়িত করতে বানরের রুটি ভাগের মতো যেভাবে সংসদের আসন ভাগাভাগি করছে তাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে আমরা আশঙ্কা করছি। আমরা এ ভাগাভাগির মধ্যে নেই। আমরা চাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে প্রতিশ্রুত পরিবেশ না পেলে বাংলাদেশ কংগ্রেসের শতাধিক প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে আসা ছাড়া বিকল্প থাকবে না। তাই জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমরা যেকোনো সময়ে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবো।’

সম্মিলিত মহাজোট প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ কংগ্রেস মূলত একটি নির্বাচনমুখী দল বলেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলাম। আমরা আমাদের জানমাল, ঘরবাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েও শুধু একটি গণমুখী দল বলেই নির্বাচনে এসেছি। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মিটিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাসে আমরাও একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করেছিলাম। আমরা মনে করেছিলাম নির্বাচনকালীন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে নির্বাচনে আসিনি বা কাউকে বৈধতা দেওয়ার লিজ নেইনি। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় মনে হচ্ছে আমরা একতরফা নির্বাচনের আয়োজনে বৈধতা দেওয়ার অনুঘটকের ভুমিকা পালন করছি। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকলে আমাদের মাধ্যমেই তাদের বৈধতা হাসিল হবে। এছাড়া দৃশ্যত মনে হচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আমাদের দলীয় জোটের প্রার্থীদের কোনো মূল্যায়ন করছে না।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়তই আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে মূলত নির্বাচনের নামে তামাশার খেলা চলছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।’

বাংলাদেশ কংগ্রেস ডাব প্রতীকে নির্বাচন করতে ১৪০ জনকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিল। যাচাই-বাছাই শেষে ১২১ জন চূড়ান্তভাবে বৈধ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনের বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব মো. ইয়ারুল ইসলাম, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোর্শেদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলুসহ অর্ধশত প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : জাগোনিউজ