০৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুজব বন্ধ না হলে দেশে ফেসবুক-ইউটিউব বন্ধের সিদ্ধান্ত

আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব অব্যাহত থাকলে প্রয়োজনে তা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। আজ রবিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের গুজব ছড়ানো বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে। তারা ব্যবস্থা না নিলে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘গুজব প্রতিরোধ ও সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে‌ ওদের (ফেসবুক-ইউটিউব) হেড অফিস এখানে না থাকার কারণে, বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সুপারিশ বা কথা তারা শোনে না। তারা যে শুনছে না, তা আমরা পাবলিকলি প্রচার করবো। প্রয়োজন হলে কিছু সময়ের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আগে প্রোপারলি নোটিফাই করবো যে, আমাদের অভিযোগ যথাযথভাবে আমলে না নিয়ে তারা (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) এসব ক্রাইম, গুজব অব্যাহত রাখছে এবং তাদের পক্ষ থেকে (প্রতিরোধে) কোনো উদ্যোগ নেই। প্রথমে তাদের বারবার বলা হবে, দরকার হলে আমরা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারেও বলবো, যেন এ কথা বিশ্ববাসীর মনে না হয়, এখানে মৌলিক অধিকার ব্যাহত হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) আইনের বিধানে রয়েছে- কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা আমাদের অভিযোগগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাদের এ উদাসীনতা পাবলিক নোটিশের মাধ্যমে জনগণকে অবহিত করা হবে। যদি কখনো এগুলো বন্ধ হয়, দায়টা যাতে সরকারের ওপরে না আসে, তাদের ওপরই যাতে বর্তায়। তাদের আমরা কী অভিযোগ দিলাম, তা যেন মানুষ জানে, আমরা অভিযোগ করে প্রতিকার পাচ্ছি না।’

বিষয়

গুজব বন্ধ না হলে দেশে ফেসবুক-ইউটিউব বন্ধের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০১:৪১:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব অব্যাহত থাকলে প্রয়োজনে তা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। আজ রবিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের গুজব ছড়ানো বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে। তারা ব্যবস্থা না নিলে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘গুজব প্রতিরোধ ও সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে‌ ওদের (ফেসবুক-ইউটিউব) হেড অফিস এখানে না থাকার কারণে, বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সুপারিশ বা কথা তারা শোনে না। তারা যে শুনছে না, তা আমরা পাবলিকলি প্রচার করবো। প্রয়োজন হলে কিছু সময়ের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আগে প্রোপারলি নোটিফাই করবো যে, আমাদের অভিযোগ যথাযথভাবে আমলে না নিয়ে তারা (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) এসব ক্রাইম, গুজব অব্যাহত রাখছে এবং তাদের পক্ষ থেকে (প্রতিরোধে) কোনো উদ্যোগ নেই। প্রথমে তাদের বারবার বলা হবে, দরকার হলে আমরা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারেও বলবো, যেন এ কথা বিশ্ববাসীর মনে না হয়, এখানে মৌলিক অধিকার ব্যাহত হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) আইনের বিধানে রয়েছে- কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা আমাদের অভিযোগগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাদের এ উদাসীনতা পাবলিক নোটিশের মাধ্যমে জনগণকে অবহিত করা হবে। যদি কখনো এগুলো বন্ধ হয়, দায়টা যাতে সরকারের ওপরে না আসে, তাদের ওপরই যাতে বর্তায়। তাদের আমরা কী অভিযোগ দিলাম, তা যেন মানুষ জানে, আমরা অভিযোগ করে প্রতিকার পাচ্ছি না।’